সিলেট প্রতিনিধি : সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। দেবী দূর্গা, দুর্গতি নাশিনী। অশুভ শক্তির বিনাশ করতেই তিনি আসেন ধরণীতে। তার আগমনের অপেক্ষায় হিন্দু সম্প্রদায়। আর কয়েকদিন পরই শারদীয় দুর্গোৎসবে ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি ও আরতিতে মুখরিত হবে সিলেটের নগরীর পাড়া-মহল্লা। এ বছর দেবী দূর্গা নৌকায় চড়ে পৃথিবীতে আসবেন। যাবেন ঘোড়ায় চড়ে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠিতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। এবারে সিলেট জেলা ও মহানগরসহ ৫১৬টি মন্ডপে ও ৬০টি ব্যক্তিগত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গত বছরের চেয়ে কম। গত বছরে ৫৮৫টি মন্ডপে পূজা হয়েছিল। মহানগরে সার্বজনীন গত বছরের ৪৫টি ছিল, এবার ২টি বেড়ে ৪৭টি ও ১৭টি ব্যক্তিগত পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট নগরীতে চলছে মন্দিরে মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি। পূজা মন্দির ও মন্ডপগুলোও সাজানো হচ্ছে নানা রঙে। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। কারিগররা তুলির শেষ আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন মা দূর্গাকে। মৃৎশিল্পীরা তাদের সর্বমেধা দিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বোধনের মধ্য দিয়ে এ পূজা শুরু হবে ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এদিকে প্রতিমা তৈরিতে মৃৎশিল্পীদেরও যেন দম ফেলার সময় নেই। মৃৎশিল্পীরা জানান, প্রতিমা তৈরি শেষ হলে রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে অবয়ব। ফুটিয়ে তোলা হবে নাক-চোখ-মুখ। তবে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হলেও পারিশ্রমিক কম বলে জানালেন তারা।
সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত দেব জানান, সিলেটে বিভিন্ন মন্ডপের প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। রংতুলির কাজ শুরু হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উৎযাপনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। সিলেট নগরীতে পূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।